"আমরা একটি গর্বিত, সমৃদ্ধশালী ও স্বাধীন জাতি তৈরি করার লক্ষ্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিবো," বলেন মি. ট্রাম্প।
২০২৩ সাল পর্যন্ত, ট্রাম্প ২০২৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রিপাবলিকান মনোনয়নের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। ওই বছরের মার্চে ম্যানহাটনের একটি গ্র্যান্ড জুরি জালিয়াতির ৩৪টি অভিযোগে ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করে। যার ফলে তিনিই প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট যিনি ফৌজদারি অভিযোগের সম্মুখীন হন।[১০] তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।[১১][১২] ২০২৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করার পর তিনি ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হন।[১৩][১৪]
আকাশেও যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বজায় থাকবে বলে জানান নতুন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন যে, মার্কিন নভোচারীরা মঙ্গল গ্রহে গিয়ে বিজয়ের নতুন ইতিহাস রচনা করবেন।
মি. ট্রাম্পের বর্তমান স্ত্রী হলেন সাবেক স্লোভেনিয়ান মডেল মেলানিয়া ট্রাম্প। তারা ২০০৫ সালে বিয়ে করেছিলেন। তাদের ব্যারন উইলিয়াম ট্রাম্প নামে এক পুত্রও আছে।
২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকেই ট্রাম্প ইসরায়েলে একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন।[৬৫][৬৬] ইসরায়েলেও তার কিছু জমি রয়েছে।[৬৭] ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও উন্মোচন করেছিলেন যেখানে ট্রাম্পকে ২০১৩ সালে ইসরায়েলের নির্বাচনে বেনজামিন নেতানিয়াহুর হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করতে দেখা যাচ্ছিল।[৬৮][৬৯] কিন্তু মুসলিমদের নিয়ে ট্রাম্পের ঐ বিতর্কিত বক্তব্যে নেতানিয়াহুসহ বহু ইহুদি নেতাও এর বিরোধিতা করেছিলেন।[৭০] ৮৪ জন নেসেট (ইসরায়েলের পার্লামেন্ট)সদস্য যাদের অনেকেরই মুসলিম ছিল, তারা একটি পেটিশ্যানে স্বাক্ষর করে নেতানিয়াহুকে ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাৎ না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল।[৭১] নেতানিয়াহুর উপর রাজনৈতিক চাপ বেড়ে যাবে ভেবে পরবর্তীতে ট্রাম্প নিজেই ইসরায়েলে ভ্রমণ এবং নেতানিয়াহুর সাথে সাক্ষাৎ মুলতবি করেন।[৭০]
"আমরা ব্যর্থ হবো না। এখন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মুক্ত, সার্বভৌম এবং স্বাধীন.
আমেরিকার কংগ্রেসে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব নিয়ে দুইটি প্রস্তাব জমা পড়েছে। ২০ জানুয়ারি ২০২১ ইং তারিখে প্রেসিডেন্ট পদে more info ট্রাম্পের মেয়াদ শেষেই আগে যাতে তাঁকে হটানো যায়, তার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছেন ডেমোক্র্যাট সেনেটররা। প্রথমত, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সংবিধানের ২৫তম সংশোধনীর আওতায় ক্যাবিনেটের কাছে যাতে এই প্রস্তাব তোলেন এবং ভোটাভুটির মাধ্যমে ট্রাম্পকে সরাতে উদ্যোগী হন, তার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। [৭৯]
ছবির ক্যাপশান, হোয়াইট হাউজে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।
তিনি প্রধান জলবায়ু ও বাণিজ্য চুক্তি থেকে সরে আসেন এবং চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধও শুরু করেন।
ট্রাম্পের রাজনৈতিক দলীয় সদস্যপদ বারবার পরিবর্তিত হয়েছে। ১৯৮৭ সালে তিনি রিপাবলিকান পার্টির সদস্য ছিলেন, পরবর্তী ১৯৯৯ সালে নিউ ইয়র্ক রাজ্যের রিফর্ম পার্টির সদস্য হন, ২০০১ সালে ডেমোক্র্যাট[৮২] ২০০৯ সালে রিপাবলিকান, ২০১১ সালে স্বতন্ত্র এবং ২০১২ সালে পুনরায় রিপাবলিকান হন।[৮৩] ১৯৮৭ সালে ট্রাম্প তার পররাষ্ট্র নীতি এবং ফেডারেল বাজেট ঘাটতি মোকাবেলার বিষয়ে মতামত প্রকাশ করে তিনটি প্রধান পত্রিকায় পুরো পৃষ্ঠার বিজ্ঞাপন দেন।[৮৪][৮৫] তিনি স্থানীয় আসনের জন্য প্রার্থী হতে অস্বীকার করেন, কিন্তু রাষ্ট্রপতি হিসেবে লড়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন।[৮৪] ১৯৮৮ সালে তিনি লি অ্যাটওয়াটারের সাথে যোগাযোগ করেন এবং রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের সহ-প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেন। বুশ এই অনুরোধকে "অদ্ভুত এবং অবিশ্বাস্য" বলে মন্তব্য করেন।
‘দ্য অ্যাপ্রেন্টিস’-এর ১৪টি সিজনে প্রতিযোগীরা তার বিশাল ব্যবসায় একটা চুক্তি পাওয়ার জন্য লড়াই করতেন। এই অনুষ্ঠানের হাত ধরে তিনি টেলিভিশন পর্দার একজন পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। তার মুখে ‘ইউ আর ফায়ারড’ সংলাপ খুবই জনপ্রিয় হয়ে যায়।
সভাপতি: ট্রাম্প প্লাজা অ্যাসোসিয়েটস্, এলএলসি
ট্রাম্পের ৩য় পুত্র এরিক (দ্য ট্রাম্প অর্গানিজেশ্যানের নির্বাহি সহ-সভাপতি) ট্রাম্প জীবনে তিনবার বিবাহ বন্ধনে here আবদ্ধ হয়েছিলেন।[৩২৫] তার ব্যক্তিগতজীবন ব্যাপকভাবে মিডিয়া কাভারেজ অর্জন করেছিল।[৩২৬]
বিবিসি বাংলার খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল অনুসরণ করুন।